আশ্রম কন্যার কণ্ঠে গুরুর গান
রবীন্দ্রনাথ ছিলেন ভ্রমণপিপাসু। তাঁর সময়ে ভারত থেকে বিদেশ ভ্রমণ আজকের মতো এত সহজ ছিল না। জাহাজ বা রেলে করে ভ্রমণের সময়ও লিখেছেন কবি। সেসব রচনার ভেতরে ছিল অনেকগুলো গান। সেগুলো থেকে ১২টি গান গেয়ে শুনিয়েছেন রবীন্দ্রনাথের আশ্রম কন্যা প্রমিতা মল্লিক।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় ছায়ানটে শ্রোতার আসরে রবীন্দ্রনাথের ভ্রমণকালে লেখা গান গেয়ে শোনালেন প্রমিতা মল্লিক। পঞ্চান্ন বছর ধরে গান করছেন। মঞ্চে উঠেই বললেন, ‘অনেক দিন গাইলাম। আর গাওয়া উচিত কি না শুনে আপনারা বলবেন।’ গান শুরুর আগেই বলে নেন, বিষয়বস্তুনির্ভর গাইবেন তিনি। কবিগুরুর সার্ধশত জন্মবার্ষিকীতে ব্যতিক্রম কিছু করার অনুরোধ করেছিল একটি রেকর্ড কোম্পানি। ব্যতিক্রম খুঁজতে গিয়ে খুঁজে পেলেন কবিগুরুর ভ্রমণকালীন গানগুলো। খুঁজে দেখলেন প্রায় ৪০টি। সেগুলো গাইলেন, বাংলা ইংরেজি মিলিয়ে সেগুলো বেরোল চারটি সিডিতে। তিনি বললেন, প্রথমবার ছায়ানটে সেগুলো থেকেই গাইবেন। শুরু করলেন লোহিত সাগরে জাহাজে ভেসে লেখা কবিগুরুর ‘প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে’ গানটি দিয়ে।
প্রমিতার জন্ম ও বেড়ে ওঠা শান্তি নিকেতনে। রবীন্দ্রনাথের শিষ্য শান্তি দেব ঘোষের কাছে দীক্ষা নেন তিনি। গুরু হিসেবে পেয়েছিলেন কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সেন, বিশ্বজিত রায়কে। বাংলাদেশে এসে গত শনিবারে গেয়েছেন জাতীয় জাদুঘরের একটি অনুষ্ঠানে। মঙ্গলবার সিলেট ও বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে গান শোনানোর কথা আছে তাঁর। বিশ্বের বহু দেশে গান শোনানো ছাড়াও বক্তৃতা করেছেন করে যাচ্ছেন রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে। তিনি গেয়ে শোনালেন ‘এ মনিহার আমার’, ‘প্রাণে খুশি তুফান উঠেছে’, ‘তার হাতে ছিল’ গানগুলো।
শ্রোতার আসরে প্রথম গান করেন ছায়ানটের শিক্ষক লাইসা আহমদ লিসা। তিনি ‘প্রভু তোমা লাগি’, ‘কে বসিলে আজি সহসা’, ‘তখন তুমি ছিলে না মোর সঙ্গে’, ‘প্রভু আজি তোমার..’সহ বেশ কিছু গান গেয়ে শোনান। তাঁর সঙ্গে এসরাজ, তবলা, মন্দিরা, তানপুরা বাজান ছায়ানটের শিক্ষকেরা। প্রাণ রসায়নের শিক্ষক লিসা গানের শিক্ষক ও শিল্পী হিসেবেই দেশের রবীন্দ্রসংগীত শ্রোতাদের কাছে অধিক প্রিয় ও পরিচিত।
২০০৭ সালের ২০শে জুন ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সভানেত্রী সুফিয়া কামালের জন্মদিনে শ্রোতার আসর শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। দেশ স্বাধীনের পর থেকে নিজেদের ভবনে এটি তাদের নতুন করে পথচলা। এর আগে মোখলেসুর রহমান সিধুর ঢাকার ওয়ারির বাসায় শুরু হয় শ্রোতার আসর। শুরুর সেই অনুষ্ঠানে গেয়েছিলেন শিল্পী ফিরোজা বেগম। পরের অনুষ্ঠানগুলোতে ফাহমিদা খাতুনের রবীন্দ্রসংগীত, খাদেম হোসেনের সেতার বাদন, ইউসুফ খান কোরেশি ও ইয়াসিন খানের উচ্চাঙ্গসংগীত নিয়ে বসে শ্রোতার আসর। প্রতি বাংলা মাসের চতুর্থ শুক্রবার সন্ধ্যায় ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনে নিয়মিত এই আসর বসে। নানা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে পড়ায় কখনো কখনো এ নিয়মের ব্যতিক্রমও ঘটে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় ছায়ানটে শ্রোতার আসরে রবীন্দ্রনাথের ভ্রমণকালে লেখা গান গেয়ে শোনালেন প্রমিতা মল্লিক। পঞ্চান্ন বছর ধরে গান করছেন। মঞ্চে উঠেই বললেন, ‘অনেক দিন গাইলাম। আর গাওয়া উচিত কি না শুনে আপনারা বলবেন।’ গান শুরুর আগেই বলে নেন, বিষয়বস্তুনির্ভর গাইবেন তিনি। কবিগুরুর সার্ধশত জন্মবার্ষিকীতে ব্যতিক্রম কিছু করার অনুরোধ করেছিল একটি রেকর্ড কোম্পানি। ব্যতিক্রম খুঁজতে গিয়ে খুঁজে পেলেন কবিগুরুর ভ্রমণকালীন গানগুলো। খুঁজে দেখলেন প্রায় ৪০টি। সেগুলো গাইলেন, বাংলা ইংরেজি মিলিয়ে সেগুলো বেরোল চারটি সিডিতে। তিনি বললেন, প্রথমবার ছায়ানটে সেগুলো থেকেই গাইবেন। শুরু করলেন লোহিত সাগরে জাহাজে ভেসে লেখা কবিগুরুর ‘প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে’ গানটি দিয়ে।
প্রমিতার জন্ম ও বেড়ে ওঠা শান্তি নিকেতনে। রবীন্দ্রনাথের শিষ্য শান্তি দেব ঘোষের কাছে দীক্ষা নেন তিনি। গুরু হিসেবে পেয়েছিলেন কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সেন, বিশ্বজিত রায়কে। বাংলাদেশে এসে গত শনিবারে গেয়েছেন জাতীয় জাদুঘরের একটি অনুষ্ঠানে। মঙ্গলবার সিলেট ও বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে গান শোনানোর কথা আছে তাঁর। বিশ্বের বহু দেশে গান শোনানো ছাড়াও বক্তৃতা করেছেন করে যাচ্ছেন রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে। তিনি গেয়ে শোনালেন ‘এ মনিহার আমার’, ‘প্রাণে খুশি তুফান উঠেছে’, ‘তার হাতে ছিল’ গানগুলো।
শ্রোতার আসরে প্রথম গান করেন ছায়ানটের শিক্ষক লাইসা আহমদ লিসা। তিনি ‘প্রভু তোমা লাগি’, ‘কে বসিলে আজি সহসা’, ‘তখন তুমি ছিলে না মোর সঙ্গে’, ‘প্রভু আজি তোমার..’সহ বেশ কিছু গান গেয়ে শোনান। তাঁর সঙ্গে এসরাজ, তবলা, মন্দিরা, তানপুরা বাজান ছায়ানটের শিক্ষকেরা। প্রাণ রসায়নের শিক্ষক লিসা গানের শিক্ষক ও শিল্পী হিসেবেই দেশের রবীন্দ্রসংগীত শ্রোতাদের কাছে অধিক প্রিয় ও পরিচিত।
২০০৭ সালের ২০শে জুন ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সভানেত্রী সুফিয়া কামালের জন্মদিনে শ্রোতার আসর শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। দেশ স্বাধীনের পর থেকে নিজেদের ভবনে এটি তাদের নতুন করে পথচলা। এর আগে মোখলেসুর রহমান সিধুর ঢাকার ওয়ারির বাসায় শুরু হয় শ্রোতার আসর। শুরুর সেই অনুষ্ঠানে গেয়েছিলেন শিল্পী ফিরোজা বেগম। পরের অনুষ্ঠানগুলোতে ফাহমিদা খাতুনের রবীন্দ্রসংগীত, খাদেম হোসেনের সেতার বাদন, ইউসুফ খান কোরেশি ও ইয়াসিন খানের উচ্চাঙ্গসংগীত নিয়ে বসে শ্রোতার আসর। প্রতি বাংলা মাসের চতুর্থ শুক্রবার সন্ধ্যায় ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনে নিয়মিত এই আসর বসে। নানা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে পড়ায় কখনো কখনো এ নিয়মের ব্যতিক্রমও ঘটে।